December 23, 2024, 1:18 pm
নিজেস্ব প্রতিবাদক ।।
রাজধানী ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত ২৫০ শতাধিক কর্মীদের উৎসাহে এবং মিলনায়তন পূর্ণ উপস্থিতিতে ৩য় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্তণ সাংস্কৃতিক কর্মী সন্মিলন। আর এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এর মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের মিলনায়তনে।
আমাদের প্রতিনিধি জানান, এই সন্মিলনের শ্লোগ্যান ছিল “এসো মিলি প্রানের টানে।” মূলত লেখক, গল্পকার ও উপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের সম্বর্ধনা ছিল মূল আকর্ষণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেলিনা হোসেন তার শিক্ষা এবং সাহিত্য কর্মের শুরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বলে তিনি জানান। রা,বি’র ছাত্রী থাকা কালীণ তার অম্লমধুর নানান কাহিনী ও স্মৃতি বর্ননা করেন।
অন্যদিকে পুরো অনুষ্ঠানে আয়োজকদ্বইয়ের মঞ্চে যেভাবেই হোক অবস্থান করতে হবে, অতীতে কি করেছেন ও কি করে এসেছেন এমন আত্মহমিকা প্রকাশ করলে মিলনায়তনে হাল্কা গুঞ্জন শুরু হয়। আগতদের বলতে শোনা যায়, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বিচ্ছূরণ ছড়াতে ব্যর্থ কয়েকজন ব্যক্তি এই মঞ্চে তা ছড়িয়ে পুষিয়ে নিতে চাচ্ছেন। যে ভাবেই হোক বছরের এই সময় নিজেদের উপস্থাপনের মোক্ষম চেষ্টা করেন তারা, উপস্থিত অনেকেই এ কথা বলতে শুনা যায়।
বিশেষ অতিথী রা,বি’র শিক্ষক প্রফেসর শহিদুল ইসলাম ও তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চ্চার নানান দিক নিয়ে বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে বর্তমানে রা,বি’তে সাংস্কৃতিক চর্চ্চার নানান শংকট ও উত্তরণের কররণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন ডঃ শাহ আজম শান্তনু। তিনি বলেন ছাত্ররা সাংস্কৃতিক চর্চ্চায় এগিয়ে না আসার কারণ তারা অতিমাত্রায় পাঠে মনোনিবেশ হওয়ায় এক্সষ্টা কারিকুলাম বা সাংস্কৃতিক চর্চ্চা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। যদিও শানিত হবার জন্য বা মেধাকে মেলে ধরতে হলে সাংস্কৃতিক চর্চ্চা অবশ্যি প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে বিক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কিছুটা মানের ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। অনেকেই এমন আয়োজনকে সাংগঠনিক রুপ দিতে তাগাদা দেন। তারা বলেন , একটি পরিচালনা কমিটি যেই ফর্মেটেই হোক তা থাকা দরকার। যারা বছর বছর এমন অনুষ্ঠান যারা আয়োজন করবেন। তিন বার হয়ে যাওয়া প্রোগ্রামকে সবাই সাংগঠনিক আদলে দেখতে চান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রা,বি’র ছাত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মী ফাতেমা তুজ জোহরা , লাইসা আহম্মেদ লিসা, উম্মে রুমা ট্রফি প্রমূখ তারা সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি আলোকিত করেছেন উপস্থিত ছিলেন রা,বি’র প্রক্তণ ছাত্র চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দীন সেলিম, চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ আর হাবিব, অভিনেতা আব্দুল আজীজসহ অনেকেই।